বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেকমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী একটি নিরীহ পরিবারকে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হামলা, বসতঘর ভাংচুর ও দখলের অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন হাটহাজারি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মীরেরখীল মীর্জা বাড়ির মীর্জা মোহাম্মদ ফারুকের স্ত্রী রহিমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বয়োবৃদ্ধ রহিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁদের উপর নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
লিখিত বক্তব্য বলা হয়, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনের আর্শীবাদপুষ্ঠ ভূমিদস্যু নূরুল ইসলাম এবং শুক্কুরের রহিমা আক্তার ও তাঁর স্বামীর মীর্জা ফারুকের কেনা ৮ শতক জায়গা জবর দখলের জন্য ২০০৭ সাল থেকে উঠে পড়ে লেগেছে। এরমধ্যে মীর নাছির দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দেশের বিভিন্ন থানায় মীর্জা মোহাম্মদ ফারুকের বিরুদ্ধে অন্তত ১৫টি মামলা ও তার প্রবাসী ছেলে মীর্জা হান্নানকে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭টি মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। এমনকি ছেলে বিদেশে থাকাকালীন সময়েও তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। গত দেড় মাসে আগে সে দেশে আসলে এরমধ্যে অস্ত্র ও খুনের মামলা এবং মারামারির ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও দুটি মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে আসামি করা হয়। হাটহাজারি থানার এসআই সজিব মীর মোহাম্মদ নাছির ও তার সন্তানের পক্ষ নিয়ে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মীর্জা হান্নানকে কক্সবাজার, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা মামলার আসামি করা হয়েছে। অথচ ওইসব জায়গায় কখনো তার পা পর্যন্ত পড়েনি। ফলে মামলা, হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে রহিমা আক্তার ও তার স্বামী মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রহিমা আক্তার বলেন, আমাদের ৮ ইউনিটের সেমি পাকা বাসা মীর হেলালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দখল করে নেয়। সেখানে তারা সেখানে মদ, জুয়ার আসরসহ হেন অপরাধমূলক কাজ নেই করছে না। এছাড়া গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্যাডার শুক্কুর ও নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী সেমি পাকা ঘর, পাকা দেওয়াল ও গেইট ভাংচুর করে। আমাদের উপর হামলা করে। ব্যাপক লুটপাট চালায়। এতে অন্তত ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রহিমা আক্তারের ছেলের বউ তানিয়া আকতার।