শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এম.পি শ্রমজীবী জনতার জীবনমান উন্নয়নে তাদেরকে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শ্রমিক সমাজ জাতীয় উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থেকে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাদের একটি বড় অংশের জীবনমান উন্নয়নের ক্রম বিকাশ ঘটেনি। সরকার শ্রমিক সমাজকে নানাভাবে প্রণোদনা ও নিম্মতম মজুরী ধার্য্য করে দেওয়ার পরও তারা পিছিয়ে আছে। এর বড় কারণ হলো শ্রমিক সমাজের বড় অংশই অদক্ষ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জ্ঞান বিহীন। তিনি গত রোববার কেসিদে রোডস্থ তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর সিবিএ-নন সিবিএ সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেছেন।
তিনি এসময় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মুখ থেকে তাদের বিদ্যমান সমস্যা ও চাওয়া-পাওয়ার কথাগুলো শুনে এই আশ্বাস প্রদান করেন যে, রাতারাতি কোন সমস্যার সামাধান করা না গেলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান দিতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি আপনাদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো অবশ্যই জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবো। তিনি শ্রমিক জনতার জীবনমান উন্নয়নে তাদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনার কারিকুলাম অনুযায়ী তাদেরকে শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা অবহিত করেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় তাঁকে বিজয়ী করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগ সিবিএ-ননসিবিএ সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দরা যে অবদান ও ভূমিকা রেখেছেন সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং নেতাকর্মীদের প্রশংসা করেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর সিবিএ-নন সিবিএ সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আবুল হোসেন আবু’র নেতৃত্বে সৌজন্য সাক্ষাতকালে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিটিসিএল চট্টগ্রাম অঞ্চল সভাপতি সাবের আহমদ, নিমার্ণ শ্রমিক ইউনিয়নের মোহাম্মদ জাফর, নাছির উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ লোডিং আনলোডিং সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, দর্জি শ্রমিক লীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ, সমিরুল ইসলাম তুহিন, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলমাস, জজ মিয়া, মিজান মিয়া, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ জিহান, আলী হোসেন, মোহাম্মদ রুবেল, আলামিন, আবু বক্কর, মোহাম্মদ রনি, মোহাম্মদ মফিজ, মোহাম্মদ করিম, মোহাম্মদ জাকির, রুবেল, বাবর প্রমুখ।