রাশিয়া ও চীন যখন ‘সীমাহীন অংশীদারিত্ব’ জোরদার করছে এবং এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের সমালোচনা করছে, তখন মস্কো ও বেইজিং সম্পর্ক জোরদার করতে ‘অর্থপূর্ণ’ প্রতিরক্ষা ও সামরিক আলোচনা করেছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া ও চীনের সামরিক বিভাগ বৈশ্বিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের মূল্যায়নে ঐক্যবদ্ধ এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করা দরকার সে সম্পর্কে তাদের অভিন্ন ধারণা হয়েছে।’
বেলুসভ বলেন, ‘তিনি চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ঝাং ইউশিয়ার সাথে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন।
বৈঠকের পর চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘উভয় পক্ষই সামরিক সম্পর্ক গভীর ও সম্প্রসারিত এবং উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা বজায় রাখার আশা করছে।
বেইজিংয়ে বেলুসভের এই সফর এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো যখন চীনের সামরিক বাহিনী এক দিনের যুদ্ধ মহড়া মঞ্চস্থ করার পর প্রয়োজনে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আরো ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
চীনের ভাষ্য অনুযায়ী, মহড়া ছিল তাইওয়ানের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে এক সতর্কতা। যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের সরকার মহড়ার নিন্দা জানায়।
চীন ও রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘সীমাহীন অংশীদারিত্ব’ ঘোষণা করেছিল, যখন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু করার তিন সপ্তাহের কম সময় আগে বেইজিং সফর করছিলেন।
ইউক্রেনে আক্রমণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে মারাত্মক স্থল যুদ্ধের সূত্রপাত করে।
গত সপ্তাহে রাশিয়া জানায়, তারা এশিয়ার বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের পাশে থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের অভিযানের সমালোচনা এবং তাইওয়ানের চারপাশে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার ‘ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীন ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্সসহ তথাকথিত দ্বৈত ব্যবহারের পণ্য সরবরাহ করে সমর্থন করছে যা তাদের অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
চীন বলেছে, তারা কোনো পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করেনি এবং রাশিয়ার সাথে স্বাভাবিক বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত বা সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা