চূড়ান্তভাবে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ ফ্রন্ট ও হিজবুল্লাহ বিজয়ী হবে: ইরান

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গাজা তথা ফিলিস্তিনের জনগণ আক্ষরিক অর্থেই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সংগ্রাম অর্থাৎ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ আঞ্জাম দিচ্ছে।

ইরানের পবিত্র প্রতিরক্ষা সপ্তাহের পঞ্চম দিনে আজ (বুধবার) প্রতিরক্ষা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একদল সাবেক সৈনিক এবং প্রতিরোধ সংগ্রামে সক্রিয় একদল ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ যারা কিনা গাজাকে রক্ষায় বুক ফুলিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং তিক্ত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে তারাও আল্লাহর জন্য জিহাদ (জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ) আঞ্জাম দিচ্ছে।

চূড়ান্তভাবে হিজবুল্লাহ তথা ইসলামী প্রতিরোধ ফ্রন্ট বিজয় অর্জন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, শরিয়া মোতাবেক এখন সুস্পষ্টভাবে সবার জন্য ফরজ দায়িত্ব হচ্ছে, ফিলিস্তিন ও আল-আকসা মসজিদকে মুক্ত করে মুসলমান তথা এর আসল মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা এবং এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, বর্তমানে লেবানন ও ফিলিস্তিনে যে যুদ্ধ চলছে তাতে কাফের ও খবিস শত্রু পক্ষের কাছে সবচেয়ে বেশি সরঞ্জাম রয়েছে। তাদের পেছনে রয়েছে আমেরিকা। আমেরিকা মুখে বলছে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তারা কোনো কিছুই জানে না। কিন্তু তারা উল্টোটা বলছে! আসলে তারা সবই জানে, এই যুদ্ধে তাদের হাত রয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমেরিকার জন্য এখন ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিজয় দরকার। এটা সম্ভব হলে আমেরিকার বর্তমান সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে এটা বলতে পারবে যে, তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্য বিজয় এনে দিয়েছে। অবশ্য তাদের জন্য মুসলমানদের ভোটও প্রয়োজন; তাই তারা ভান করছে যে, তারা যুদ্ধে জড়িত নয়।

তিনি আরও বলেন,  ইসরাইলের কাছে অর্থ, অস্ত্র, সুযোগ-সুবিধা এবং বিশ্বব্যাপী প্রচারণাযন্ত্র রয়েছে। অন্যদিকে মুমিন ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদকারীদের কাছে এসব সুযোগ-সুবিধার এক শতাংশও নেই। কিন্তু এরপরও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লড়াইরত মুজাহিদদারই বিজয়ী।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এখন পর্যন্ত বিজয় হিজবুল্লাহ ও প্রতিরোধ সংগ্রামীরাই বিজয়ী। এর কারণ হলো, ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি গাজা, পশ্চিম তীর এবং লেবাননে  প্রতিরোধী সংগ্রামীদেরকে পরাজিত করতে সক্ষম হতো তাহলে তারা বাড়িঘর, স্কুল, হাসপাতাল, শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ করার প্রয়োজন মনে করত না। হিজবুল্লাহর কিছু কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শহীদ হয়েছেন, এটা অবশ্যই হিজবুল্লাহর জন্য ক্ষতিকর। তবে এটা এমন পর্যায়ের নয় যে, হিজবুল্লাহকে নতজানু করা যাবে। হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক ও মানবিক শক্তি এর চেয়ে অনেক বেশি