নগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতুর (নতুন ব্রিজ) চাক্তাই অংশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১ নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নতুন ব্রিজ পার হয়ে শহরমুখী এলাকায় ইট বোঝাই ট্রাকটি (চট্টমোট্রো–ট ১১–১০৪৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে সড়কের পাশে থাকা একটি হোটেলের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় সড়কের পাশে থাকা ফলমূল বিক্রেতা ও হকারও চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক বাসের হেলপার নিহত হন। তার নাম বিকাশ চৌধুরী (২৪)। মারাত্মক আহত হয়েছেন ১৬জন। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহত অবস্থায় ২জনকে উদ্ধার করে। বাকিদের পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ট্রাক থেকে ইট নামিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ–ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। রাত ১২টায়ও পুলিশ–ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় শত শত মানুষ উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে বাকলিয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন এখলাছুর রহমান (৬০), গ্রাম–চন্দনাইশ বরকল, মোঃ নিজাম (২৩), পিতাঃ মোঃ হোসেন, কঙবাজার, (৩) মোঃ রফিক (৪০), পিতা মৃত ইব্রাহিম, গ্রাম বিজয় নগর, মোঃ মতিয়ার (৪৫), পিতা মৃত সৈয়দ আলী পাঁচলাইশ ষোলশহর সালামের কলোনি, কাঞ্চন মোল্লা (৪৫), পিতা ফজলুল হক মোল্লা, চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ট্রাকটি সম্পূর্ণ হোটেলের ভেতর ঢুকে যায়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মৃত এবং ১ জনকে জীবিত উদ্ধার করি। ট্রাকটি রেকার দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিই। রাত সাড়ে ১২টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফয়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, রাত সাড়ে ১২টায় আজাদীকে বলেন, নতুন ব্রিজের চাক্তাই গোল চত্বর এলাকায় দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ১৭ জনকে মেডিকেলে আনা হয়েছে। তারমধ্যে ১ জন মারা গেছে। ১৬ জনন আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। এই মুহূর্তে আমিও ঘটনাস্থলে রয়েছি। ধারণা করছি দুজন মারা যেতে পারে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে হতাহতদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।