আলী রেজা রানা আকবরশাহ থানাধীন ইস্পাহানী স্কুল এবং আশেপাশে বিভিন্ন স্কুলের কিশোরদের নিয়ে কিশোর গ্যাং গঠন করে আধিপত্য বিস্তারের এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি গোলাম রসুল নিশান।
তিনি অভিযোগ করেন, ডাক্তার কোরবান আলীর মৃত্যুর ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী ঘরানার পরিবারের সন্তান গোলাম রসুল নিশানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুরু থেকে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, আলী রেজা রানা সে নিজেকে বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবী করে, দীর্ঘদিন ধরে সে আকবরশাহ থানাধীন ইস্পাহানী স্কুল এবং আশেপাশে বিভিন্ন স্কুলের কিশোরদের নিয়ে অত্র এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। এই কিশোরদের ব্যবহার করে সে অত্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে।
তিনি জানান, পশ্চিম ফিরোজশাহ এলাকার অধিবাসী সামী নামে এক যুবক ৬ই ফেব্রুয়ারি রানা এবং তার কিশোর গ্যাং এর এমনি এক বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানালে সে উলটো ৯৯৯ এ ফোন করে সামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ যাচাই বাছাই করে সামীর বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমান না পাওয়াতে তাকে উক্ত সময়ে ছেড়ে দেয়। এহেন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অনেক অভিভাবকবৃন্দ আমার সাথে যোগাযোগ করে। আমি যেহেতু রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন ফিরোজশাহ সমাজকল্যান সংঘের সাধারণ সম্পাদক আমাকে বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করতে হয়। আমরা কোন ঘটনা সামাজিকভাবে সমাধান করতে না পারলে এলাকার কাউন্সিলর এর কাছে কিংবা নিকটস্থ থানায় গিয়ে আঈনগত ভাবে সমস্যার সমাধানের উপদেশ দিয়ে থাকি। সেই দ্বায়িত্ববোধ থেকেই পরিবেশ শান্ত করার জন্য আমি উক্ত অভিভাবকবৃন্দদের সাথে যোগাযোগ করি, তারা আমাকে সেদিন রাতেই গ্রীন টাওয়ার এর সামনে বৈঠকের কথা বলে নিয়ে যায়। উক্ত বৈঠকে প্রমানিত হয় যে নির্দোষ সামীকে, আলী রেজা রানা ষরযন্ত্রমূলকভাবে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং যেহেতু সে সামীর চেয়ে বয়সে অনেক ছোট সবাই তাকে সামীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। উলটো সে হুমকি দেয় এলাকার কেউ বেশি বুঝলে তাকেও ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশে উঠিয়ে দিবে। এহেন পরিস্থিতিতে আমি এলাকায় কোন বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী না করে কারও মান হানি হয়ে থাকলে তাদের কে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ জানাই।
ঘটনার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি।