চট্টগ্রাম মহানগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় সংলগ্ন কদম মোবারক মাদ্রাসার সম্মুখে গত রাতে উদ্ভুত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও তৎপরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজনের প্রেক্ষিতে গত কাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তিনি বিক্ষোভরত জনগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন৷
এ সময় তিনি সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ ও পেশানির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বাসযোগ্য, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ চট্টগ্রাম শহর গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির দিক থেকে চট্টগ্রামের আলাদা ঐতিহ্য আছে। এই ঐতিহ্য ধরে রেখে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। এই সময় সেখানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খানসহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মানননীয় সিএমপি কমিশনার আশ্বাসে বিক্ষোভরত হিন্দু গণজাগরণ পরিষদ শান্তিপূর্ণভাবে দ্রুত তাদের কর্মসূচি শেষ করে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। এর আগে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ এর নির্দেশে গতকাল সকালে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খান এর কার্যালয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পূজা উদ্যাপন পরিষদ, হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য যে, গত রাত আনুমানিক ২২:৩০ ঘটিকার সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গণেশ পূজার প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিমার উপর ছাদ থেকে পানি নিক্ষেপের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ এই সময় বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয় ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের সহায়তায় রাত ২:৩০ ঘটিকায় পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আনলেও সকাল থেকে আবারও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।