বে টার্মিনালের চারটি টার্মিনালই বিদেশি বিনিয়োগে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৩৭তম বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর সাফল্যজনক ছিল। পিসিটিতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে বন্দর তথা রাষ্ট্র উপকৃত হবে। বৈদেশিক আয় বাড়বে। শতভাগ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক দেড় বছরের মধ্যে সব ইকুইপমেন্ট চলে আসবে। গতানুগতিক সিস্টেম থেকে বেরিয়ে ল্যান্ডলর্ড সিস্টেমে বন্দর পরিচালনা শুরু করেছি।
‘বে টার্মিনালের ভূমি পেয়ে গেছি। মাস্টারপ্ল্যান হয়ে গেছে। ১২-১৪ মিটার ড্রাফটের চ্যানেল। সব নকশা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। চারটি টার্মিনাল করা হবে। ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে দুইটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে বিদেশি বন্দর প্রতিষ্ঠান। একটি লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল করবে দেশি প্রতিষ্ঠান। সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। বন্দরের মাল্টিপারপাস টার্মিনালে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিদেশিরা। বে টার্মিনালের পুরোটাই হবে বিদেশি বিনিয়োগে। সত্যিকার বন্দর নগরের রূপ দেখা যাবে ৪-৫ বছর পর। তখন চট্টগ্রাম বন্দর হবে হাব পোর্ট’।
তিনি বলেন, কোভিড অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতি মন্থর করলেও চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। সর্বোচ্চ ২ দিনে জাহাজ লোড আনলোড শেষ করে পরবর্তী গন্তব্যে ছেড়ে দিচ্ছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এবার ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে।
‘অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে জেনারেল কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টন। এ সময় জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ১টি। বিগত বছরে ৪৩ হাজার বর্গমিটার কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে ২০ ফুটের ৭ হাজার কনটেইনার রাখার সুযোগ হয়েছে। ৪ হাজার ২৭৫ বর্গমিটারের কেমিক্যাল শেড নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা রক্ষায় উভয় পাড়ে ২ হাজার ৮৫০ মিটার রিভেটমেন্ট কাজ সম্পন্ন হয়েছে’।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর তিন-চার বছরের মধ্যে নিজস্ব টার্মিনালে অপারেশন শুরু করবে। সাপোর্ট ভ্যাসেল সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যাতে টার্মিনাল একদিনও বন্ধ না থাকে। মাতারবাড়ীতে দ্বিতীয় ধাপে ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের জরিপ কাজ চলছে।