পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো পুনর্গঠন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর পুনর্গঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, অনিয়ম বন্ধ করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বান্দরবানের নেতৃবৃন্দরা। গতকাল শুক্রবার বান্দরবান প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবানের সমন্বয়ক আসিফ ইকবাল এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দায়ের করা মামলায় একাধিক আসামিদের জামিন দিয়েছে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ছাত্র সমাজের মাঝে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রনেতা মো. মুসা, হাবিব আল মাহমুদ, আব্দুল্লাহ নাওয়াজ সানিম, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহির ইরতীয়াম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্ররা বলেন, গত ৫ আগস্টের ছাত্রজনতার গণ–আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সেক্টরে অনিয়ম–দুর্নীতি বন্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে কয়েকটি সেক্টরে এখনও দুর্নীতি, অনিয়ম, বৈষম্য চলমান রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ সময় পার হলেও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর পুনর্গঠন না হওয়ায় জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগগুলোতে অনিয়ম দুর্নীতি বেড়ে চলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্ররা দাবি করেন, স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ জনগণ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনকে বার বার তাগাদা দেওয়া হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বান্দরবানের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর পুনর্গঠন করা না হলে শীঘ্রই কঠোর আন্দোলন দেওয়া হবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা হুঁশিয়ারি দেন।