লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরনে তদন্ত কমিটি গঠন

 

লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে বাসে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরনে তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনায়  আজ তদন্ত কমিটি  গঠন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার ও পুলিশ সুপাার মো. আকতার হোসেন দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন তারা।

পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্মমানের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করার কারনে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কি কারনে এ ঘটনাটি ঘটেছে, সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট  একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ও আহতদের চিকিৎসায় আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। এদিকে পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, গাড়িটির ফিটনেস ছিল কিনা বা কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতরাত দুইটার দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

গ্রীনলাইফ ফিলিং স্টেশনে রোববার রাত পৌনে দুইটার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে । এসময় বাসে গ্যাস নেয়ার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরন হয়। এতে চারদিকে ধোয়া আছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি করে। এসময় ঘটনাস্থলে মারা যায় সিএনজির দুই ও বাসের চালকসহ তিনজন।

নিহতরা হচ্ছে, সদর উপজেলার চরমনসার বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন (৩০), বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৪৫) ও রাজিবপুর এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে হৃদয় হোসেন (২৩)। এসময় আরো ২০জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সুমন হোসেন, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, হৃদয় ইসলাম, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ১০জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থায় আশংকাজনক বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. জয়নাল আবেদিন।