ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র জনসংযোগ অধিদপ্তর সোমবার রাতের ইসরাইল বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে দু’টি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
এর দ্বিতীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি স্থাপনাগুলো রক্ষা করার জন্য সর্বাধুনিক ও বিপুল পরিমাণ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও ইরানের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হেনেছে। ইহুদিবাদী কর্মকর্তারা ইরানের গোয়েন্দা সক্ষমতা ও ইসরাইলে হামলা চালানোর ক্ষমতা দেখে হতচকিত হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের আত্মরক্ষা করার অধিকারের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি এ ব্যাপারে কোনো কাপুরুষোচিত প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তাহলে ইরানের পরবর্তী আঘাত হবে মারাত্মক ধ্বংসাত্মক এবং অনুশোচনা সৃষ্টিকারী।”
আইআরজিসি’র দ্বিতীয় বিবৃতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সম্মানিত মুসলিম উম্মাহ, মহান প্রতিরোধ ফ্রন্ট ও সম্মানিত ইসলামি ইরানি জাতি,
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃবৃন্দ ও কমান্ডাররা আগেই যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার ভিত্তিতে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীতে আপনাদের সন্তানরা অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২ অভিযান চালিয়েছে।
তারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে ইসলামি ইরানের সন্তানদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছে।
এই অভিযানে ইসরাইলের কয়েকটি বিমান ও রাডার ঘাঁটি এবং প্রতিরোধ নেতাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পরিকল্পনাকারী কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে হামাস নেতা শহীদ ড. ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা হুজ্জাতুল ইসলাম শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যা পরিকল্পনাকারী স্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলি স্থাপনাগুলো রক্ষা করার জন্য সর্বাধুনিক ও বিপুল পরিমাণ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হেনেছে। ইহুদিবাদী কর্মকর্তারা ইরানের গোয়েন্দা সক্ষমতা ও ইসরাইলে হামলা চালানোর ক্ষমতা দেখে হতচকিত হয়ে পড়েছে।
ইরানের আত্মরক্ষা করার অধিকারের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি এ ব্যাপারে কোনো কাপুরুষোচিত প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তাহলে ইরানের পরবর্তী আঘাত হবে মারাত্মক ধ্বংসাত্মক এবং অনুশোচনা সৃষ্টিকারী।”