চট্টগ্রাম জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে যোগদান করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফরিদা খানম (পরিচিতি নং-১৫৯৭০)। তিনিই এ জেলার প্রথম নারী ডিসি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেই এ জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড আরও বেগবান করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পৃথক পৃথক পরিচিতি ও সংক্ষিপ্ত সভা করেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের সংস্কার শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যহার করে নিয়েছিল। অবশেষে ২৩ দিন পর নতুন জেলা প্রশাসক পেল চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা। গত ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার স্মারক নং-০৫.০০.০০০০.১৩৯.১৯.০০১.২৪-৪০৬ মূলে উপসচিব হোসনা আফরোজ স্বাক্ষরিত জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে উপসচিব ফরিদা খানমকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তাহাঁর জন্মস্থান গোপালগঞ্জে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গছে, নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম ২৫তম বিসিএস (প্রশাসন) ২৫তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। বিগত ২০০৬ সালে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে প্রথম যোগদানপূর্বক কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এর পর রংপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার, নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা, সদর উপজেলা ও শরীয়তপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন ফরিদা খানম। এর পর টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার, ফেনী জেলার দাগনভূঞাঁ উপজেলা ও নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন বিসিএস ২৫তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা।
এছাড়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে প্রেষণে উপপরিচালক (ম্যাজিস্ট্রেট), বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে উপপ্রধান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফরিদা খানম। চট্টগ্রাম জেলায় জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন পড়ালেখায় তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।