চালের দাম একদম কমছে না তা সঠিক নয় উল্লেখ করে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে মোটা চালের দাম প্রায় ৫ টাকা কমেছে। এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারিভাবে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে
ইতোমধ্যে অনেক দেশ থেকে চাল এসেছে। কিছু কিছু দেশ থেকে আমাদানি কার্যক্রম চলমান আছে।
আশা করছি চালের দাম ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।
বাণিজ্যকে আমরা রাজনীতির সাথে মেলাচ্ছি না। ভারত, মায়ানমার কিংবা পাকিস্তান যেহেতু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী, আমদানি খরচও তুলনামূলকভাবে কম। সে জন্য রপ্তানি করতে আগ্রহী প্রতিবেশী দেশগুলোকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নির্মাণাধীন পতেঙ্গা সাইলোর সার্বিক কার্যক্রম অগ্রগতি এবং বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আজ চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা সাইলোর সার্বিক কার্যক্রম এবং বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি। পতেঙ্গায় প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার সাইলো নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যার নির্মাণকাজ আগামী জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। সামনে বর্ষা, বৃষ্টিতে সাইলো নির্মাণের কাজে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে কীভাবে সাইলো নির্মাণের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। সাইলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে চট্টগ্রামে খাদ্য সংরক্ষণের সক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাবে।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন কোন বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ দুর্যোগকবলিত দেশ। এবারের আমন মৌসুমে অকাল বন্যা খাদ্য উৎপাদনকে মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা মূলত অভ্যন্তরীণ ফসল উৎপাদন বাড়াতে নজর দিচ্ছি। সে জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলমান যুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একধরনের হুমকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এ বাস্তবতায় আগামী রমজানে দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রায় ৫০ লাখ খেটে খাওয়া মানুষকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। প্রতি কেজি চালের দাম ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রমাজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।