চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন ফিরিঙ্গী বাজার প্রঃ এয়াকুব নগর হাল বন্দর এলাকায় কিছু বহিরাগত লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জায়গা দখল চেষ্টা ও ভাংচুর করছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গী বাজার প্রঃ এয়াকুব নগর হাল বন্দর এলাকায় এঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গী বাজার হাল বন্দরস্থ মিজান সল্ট মিলস্ এর স্বত্বাধিকারী গংদের নামে
বিএস জরিপে বিএস ৬২৫ দাগের জায়গা গফফার দোভাষ, হামিদ দোভাষ, হালিম দোভাষ ও তাদের বোনদের কাছ থেকে খরিদা মুলে বিএস জরিপের বিএস ৬২৫ দাগে বিভিন্ন তারিখে রেজিস্ট্রীকৃত অন্তত সাতটি রেজিস্ট্রার দলিল মুলে প্রায় ৩০.৪৭ শতক জায়গা খরিদ করেন, উক্ত মতে শান্তিপূর্ণ ভাবে দখল স্থিত থাকিয়া মিজান সল্ট মিলস্ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে চালিয়ে আসছিল। উক্ত বিএস ৬২৫ নং দাগের পাশাপাশি বিএস ৬২৬ দাগের খাস জায়গা মিজান সল্ট মিলস্ মালিক প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি সময় ধরে দখলে থাকিয়া উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনাসহ মিলে কর্মরত শ্রমিকরা সেখানে বসবাস করে থাকেন।
কিন্তু এরই মধ্যে সাদাত দোভাষ গংরা দলবল নিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে উক্ত জায়গা জবরদখল পায়তারা চালাচ্ছে, সর্বশেষ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে অভিযুক্ত সাদাত দোভাষ এর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন বহিরাগত লোকজন নালিশী জায়গা জবরদখল করার কূমানসে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে গার্মেন্টস এক্সসরিস ফ্যাক্টরীর সিসি ক্যামেরা ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির হেলাল বলেন,আল সাদাত দোভাষের (সাগর) লোকজন বেশ কয়েকদিন ধরে নালিশী জায়গা দখল করার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল, তাদের হুমকি ধমকি থেকে প্রাণে বাঁচতে গত ১২ জানুয়ারি (রোববার) কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আজকে সকালে বহিরাগত ৫০/৬০ জন লোকজন নিয়ে সাদাত দোভাষের লোকজন এই তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হেলাল।
উল্লেখ্য, মিজান সল্ট মিলস্ এর মালিক পক্ষ বিএস ৬২৫ দাগে খরিদা মুলে তাদের খরিদা সম্পত্তির শিরো পাতি হিসেবে বিএস ৬২৬ দাগে থাকিয়া যুগ যুগ ধরে মিলের কার্যক্রম পরিচালনা ও মিলের শ্রমিকরা বসবাস করে আসছেন, এবিষয়ে বিএস ৬২৬ দাগের জায়গাটি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনও করেছে, যাহা বন্দোবস্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও এই মামলাও চলমান রয়েছে, অভিযুক্ত সাদাত দোভাষের করা একটি মামলার প্রতিবেদনেও বিএস ৬২৬ দাগের জায়গা মিজান সল্ট মিলস্ এর মালিকের দখলে থাকার বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সাদাত দোভাষের বেআইনি কর্মকাণ্ড বাঁচতে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকদের বসতি স্থাপনা রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা।