বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে দিল্লিকে অনুরোধ

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে নাক না গলাতে দিল্লিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।

সোমবার ( ডিসেম্বর) ভারতবাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপড়নের মাঝে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব।

সময় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্য পছন্দ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। বৈঠকে ইস্যুতে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে জানানো হয়েছে।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে বিভ্রান্তি অপপ্রচারের সুযোগ নেই বলে ভারতকে সাফ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব। এমনকি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে নাক না গলানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আজকের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কাম্য নয় এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে ধরনের হত্যাকাণ্ড সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা সবসময় বলেছি, সীমান্তহত্যা যেন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়। তাদের দিক থেকে তারা বলেছে, সীমান্তে নানা ধরনের অপরাধ হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব অপরাধের সংযোগ আছে।

মো. জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা বলেছি, আমরা কোনো অপরাধ সমর্থন করি না। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডকেও সমর্থন করি না। কাজেই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যে কথা বলছি, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের যে অঙ্গীকার এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার, সেটার বিষয়ে তারা যেন শ্রদ্ধাশীল থাকে। ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা নানা ধরনের হুমকির বিষয়ে জোরালোভাবে জানানো হয়েছে।

গত আগস্টের পর ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া এক ধরনের বন্ধ করে দিয়েছে। অবস্থার পরিবর্তন বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জসিম উদ্দিন বলেন, চিকিৎসাপ্রার্থীদের ভিসা সহজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের সহায়তা কামনা করা হয়েছে। দেশটিতে আটক বাংলাদেশি জেলে অন্যান্য নাগরিককে ফেরত দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। বৈঠক শেষে তিনি জানান, দুপক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জনগণকেন্দ্রিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় ভারত। যদিও সাম্প্রতিক ইস্যু, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং কূটনীতিক মিশনে হামলা নিয়ে উদ্বেগ জানান মিশ্রি।