জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির সহ–দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিক অধিকারহারা নির্যাতিত–নিপীড়িত মানুষের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করাসহ সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন–নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছিল। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক।
আওয়ামী শাসনামলে শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাই নন, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোরই কোনো নিরাপত্তা ছিল না। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার–বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে গত ১৬ অথবা ১৭ বছরে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছিল।
গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপোষহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন– সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন মুক্ত।
‘মানবাধিকার দিবস’-এর এ বছরের মূল থিম হচ্ছে– ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’।এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
যুগে যুগে তরুণরাই সমাজের অসংগতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই–সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আজও মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই মানবাধিকারের পক্ষে তরুণদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় মানুষের বাক–ব্যক্তি স্বাধীনতাসহ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় সংকল্প।