বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কের উত্তেজনা এখনো কমেনি, বরং দিন দিন তা বাড়ছে। বাংলাদেশে আগত ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের দিনেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশকে একধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ওনারা বাংলা, বিহার দখল করে নেবে। আপনারা দখল করতে আসবেন আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব?’
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভারতের গণমাধ্যম এবিপি আনন্দ এই বক্তব্য সম্প্রচার করে।
মমতার এই বক্তব্যের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য। রোববার (৮ ডিসেম্বর) যেখানে রিজভী বলেন, ভারত চট্টগ্রাম দাবি করলে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা ফেরত দিতে হবে।
এই মন্তব্যের পর দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া বাড়ছে, আর মমতার মন্তব্য সেই প্রতিক্রিয়ার অংশ হয়ে উঠেছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মমতা আরও বলেছেন, যারা এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন। তাদের বলছি, এতে আপনাদেরই ক্ষতি হবে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কেউ যেন এমন কিছু না বলে যা বাংলার পরিস্থিতি খারাপ করে।
এ ছাড়া, মমতা সীমান্তে বিএসএফের কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা বাংলা-বিহার দখল করতে চান, তাদের বলছি, এত হিম্মত কারও নেই।
মমতার এ বক্তব্যে একদিকে যেমন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি শান্তি বজায় রাখার জন্য তার আহ্বানও স্পষ্ট। তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই, দাঙ্গা চাই না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শুরু হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে ভারতের মন্তব্য, যা উভয় দেশের সম্পর্কের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়াও, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচারিত হওয়া, যা উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়েছে।
পরিস্থিতি যখন এই, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ভারতীয় রাজনীতিকদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাতে তারা বিষয়টি আরও জটিল না করে এবং সম্পর্কের অবনতি রোধ করতে পারেন।