কর্ণফুলী শাহ আমানত (রহ.) সেতুর অন্যায় ও অযৌক্তিক টোল আদায়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কর্ণফুলী নাগরিক পরিষদ, সিডিএ কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ সমিতি এবং বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) চট্টগ্রাম জেলা শাখা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ-নুর নাহার মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী শাহ আমানত (রহ.) সেতুর টোলের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন একাধিকবার একই সেতু পারাপারের সময় টোল দিতে বাধ্য হওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, যানজট ও দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী নদীর দুই তীরে জনবসতি থাকলে সেতু থেকে টোল আদায় করা হয় না। অথচ কর্ণফুলী সেতুর ক্ষেত্রে সেই নীতি উপেক্ষা করা হচ্ছে— যা দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর প্রতি বৈষম্যের শামিল। টোল আদায়ের ফলে এলাকার বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবাহও ব্যাহত হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
তারা অবিলম্বে সেতুর টোল বন্ধ ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান। একই সঙ্গে ঘোষণা দেন, আগামী ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় মইজ্জ্যারটেক টোলপ্লাজার পশ্চিম পাশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিডিএ কর্ণফুলী আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান, কর্ণফুলী নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস. এম. ফোরকান, সদস্য সচিব সাংবাদিক শফিক আহমেদ সাজিব, বিএইচআরএফ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ. এইচ. এম. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ সমিতি (ইউ.এ.ই.)-এর সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. রফিক সিকদার, সহ-সভাপতি মো. গোলাম ওয়ারেছ এবং কর্ণফুলী নাগরিক পরিষদের এইচ. এম. হারুন অর রশিদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. উসমান, ব্যাংকার মো. মেহেরাব হোসেন খান, নজরুল ইসলাম (লোটাস), ব্যবসায়ী এজাবত উল্লাহ, প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া মো. রিয়াদ, নুরুল আবছার চৌধুরী, মো. সেলিম, অ্যাডভোকেট মো. জাহিদুল ইসলাম, এজাজ আল ফারুকসহ আরও অনেকে।
