বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)।

একই সঙ্গে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত সরকার কর্তৃক প্রণীত দমনমূলক আইন বাতিল করার এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন আইনি মামলা প্রত্যাহার করার জন্য অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

আরএসএফ বলছে, সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে ড. ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আসার বিষয়টি ‘পুরোনো আইন ও চর্চা’র ফল। যা ইঙ্গিত দেয়— যে ‘প্রতিশোধ গ্রহণের’ ধারায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শতাধিক সাংবাদিক ভুক্তভোগী হয়েছেন, শিগগিরই সে অবস্থার অবসান ঘটতে পারে।

আরএসএফ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ড. ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টেনেছে। সেখানে তারা বলছে— সাক্ষাৎকারে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ কার্ড বাতিল করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের কাজ করতে বাধা দেবে না। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত হবে শুধু।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দুই মাস পর, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্থায়ী সরকার গঠনের আগে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান সংস্কারে কাজ করছেন। ইউনূসের জন্য আওয়ামী লীগ দল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী নীতি ভেঙে ফেলার জন্য, তাকে এই সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দুতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর রাখতে হবে।