পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল নিয়ে ডা. রবিউল হোসেনের নয় ছয়

শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরে ফেলায় ডা. রবিউল হোসেন অপপ্রচারে নেমেছেন বলে মন্তব্য করে দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওয়াহিদ মালেক তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বছরের পর বছর ধরে লুটপাটে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনাকে পুঁজি করে আমাকে আওয়ামী সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে।

রবিবার (১২ আগস্ট) দৈনিক আজাদী ভবনে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওয়াহিদ মালেক বলেন, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল একটি ট্রাস্টের সম্পত্তি। এটি কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। আমি নিজেই এটির বোর্ড মেম্বার এবং আমার বাবা এম এ মালেক এটির চেয়ারম্যান।

ডা. রবিউল হোসেন এটির ম্যানেজিং ট্রাস্টি। চক্ষু হাসপাতাল ট্রাস্টের পাশাপাশি আমার বাবাসহ কয়েকজন শিল্পপতির বিনিয়োগ এবং বিশাল অংকের ব্যাংক ঋণে গড়ে উঠে চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল।

তিনি বলেন, তাকে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হলে স্বাভাবিক নিয়মে কোম্পানির অডিট করানো হয়। অডিট করাতে গিয়ে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে।

কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে হাসপাতালের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদুকে ফাইল জমা দেয়া হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বর্তমান ম্যানেজমেন্টের এই উদ্যোগে দিশেহারা হয়ে ডা. রবিউল হোসেন এবং তার দুই পুত্র নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করছেন বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।

এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি চক্ষু হাসপাতাল কম্পাউন্ডস্থ তার বাসায় সংঘটিত একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে ওয়াহিদ মালেকের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করে।