সাতকানিয়ায় এসএমবি ব্রিক ফিল্ডের ৩ কোটি টাকার ইট লুটের অভিযোগ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়ার ছনখোলায় এসএমবি ব্রিক ফিল্ড থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ লাখ ইট লুট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শতাধিক সন্ত্রাসী ৩০/৩৫ ট্রাক নিয়ে প্রকাশ্যে লুট করলেও কেউ টু শব্দ পর্যন্ত করতে পারেনি।

আজ মঙ্গলবার ( ৯ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন এসএমবি ব্রিক ফিল্ডের অংশীদার মোহাম্মদ নোমান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ নোমান বলেন, ২০২১ সালের ৩০ মার্চ আমি ও বাঁশখালীর গুনাগরী এলাকার আসহাব মিয়ার সন্তান হাসান কামাল যৌথভাবে বাঁশখালীর কালিপুরের মোহাম্মদ ওসমান গণীর কাছ থেকে সাতকানিয়া থানাধীন এওচিয়া ইউপিস্থ ছনখোলা আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন দানু মিয়া ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারার্স ব্রিক ফিল্ডটি কিনে নিই। এসময় বিধি অনুসারে সমস্ত কাগজপত্র করি। পরে ব্রিক ফিল্ডের নাম সাতকানিয়া ম্যানুফাকচারার্স ব্রিকস নামকরণ করে যৌথভাবে পরিচালনা করে আসছি।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে ইটভাটাটি বিক্রিকারী মোঃ ওসমান গণি ও সাতকানিয়ার এওছিয়ার ছনখোলা এলাকার মোঃ আনছারুল হকের লুলুপ দৃষ্টি পড়ে। তাদের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ১৮ মে সন্ধ্যায় একদল সন্ত্রাসী নিয়ে ব্রিক ফিল্ডের প্রবেশ করে আমাদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ইট ভাটায় ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ৩০২৩ সালের ২৩ মে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

মোহাম্মদ নোমানের অভিযোগ, আমার ব্যবসায়িক পার্টনার হাসান কামাল ব্রিক ফিল্ডের জায়গার বিষয়ে সাতকানিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত নালিশী ভূমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ওসমান গণী ও আনছারুল হক আদালতের স্থিতিবস্থা আদেশ অমান্য করে গত ২৩ জানুয়ারি সকাল ৯ টায় ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ব্রিক ফিল্ডে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ৬০ হাজার ইট লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারিন।

তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে উক্ত বিকফিল্ড উৎপাদন এবং বিক্রয়সহ যাবতীয় কার্যক্রম প্রায় ১৬ মাস বন্ধ রয়েছে। ওই ফ্রিল্ডে ৩০:লাখ ইট রয়েছে। গত ৮ জুলাই সকাল ৮ টায় ৩০/৩৫ টি ট্রাক নিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওসমান গণীর নেতৃত্বে ব্রিকফিল্ডে লুটতরাজ চালায়। তারা প্রায় ৩ লাখ ইট লুট করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। তাদের হাতে অস্ত্র শস্ত্র থাকায় শতশত এলাকাবাসী দেখলেও কেউ ভয়ে টু শব্দ পর্যন্ত করতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ডিআইজি চট্টগ্রাম, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।