হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ইসরাইল

ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত। সোমবার দেশটির একজন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, লেবাননে যুদ্ধ বন্ধ করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর কাছাকাছি সময়ে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিয়েছে। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতা- যা শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নেয়।

যুদ্ধবিরতি আলোচনা জোরালো হওয়ার সাথে সাথে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, ইসরাইলি হামলায় লেবাননে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছে, নিহতের ঘটনার বেশিরভাগই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ঘটেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের এও বলেন যে, আলোচনা চলমান রয়েছে আর

‘আমরা বিশ্বাস করি, আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’

গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার বিষয়ে বারবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরায়েল এখনও সেখানে হামাসের সাথে যুদ্ধ করছে, যদিও তারা এখন লেবাননে দ্বিতীয় ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে।

ফ্রান্স সোমবার যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির’ কথা জানিয়েছে। দেশটি ওয়াশিংটনের সাথে লেবাবনে যুক্তবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্সি ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতির ‘এই সুযোগটি ব্যবহার করুন’।

ইতালি লেবাননে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে একটি ‘আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছে।

ইতালি বর্তমানে জি৭ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের অধিকারী।

ইউএস নিউজ সাইট অ্যাক্সিওস এর আগে জানিয়েছে, পক্ষগুলোর যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে একটি চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে- যা হবে একটি ৬০ দিনের ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’।

চুক্তিটির আওতায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিরে আসবে। লেবানিজ সেনাবাহিনীকে সীমান্তের কাছে পুনরায় মোতায়েন করা হবে ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ লিটানি নদী উত্তর থেকে তাদের ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার করবে।

খসড়া চুক্তিতে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে তদারকির জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি গঠনেরও বিধান রয়েছে। পাশাপাশি এতে লেবাননের সামরিক বাহিনী চুক্তির শর্ত মেনে না চললে ইসরাইল আসন্ন হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও আশ্বাস রয়েছে।