ঘূর্ণিঝড় দানার তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি খুলনায়। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও সূর্য উঠেছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হালকা বৃষ্টি হয়। সামান্য বাতাস রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙেনি।
স্থানীয়রা জানায়, কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ তহশিল অফিসের পাশে, মদিনাবাদ লঞ্চঘাটের উত্তর পাশে ও গোবরা গ্রামে বেড়িবাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পাইকগাছা উপজেলার দেলুটিসহ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি, বাতাস ও জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো আগে থেকেই জরাজীর্ণ ছিল। তবে কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙেনি।
এদিকে ভোর থেকে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। নদীতে ভাটা শুরু হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। নদীতে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের ওড়িশার স্থলভাগে আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলে গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তবে এখন পর্যন্ত এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। যদিও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ‘দানা’র প্রভাব ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে,চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুন্দ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।