জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ সংশোধন প্রস্তাব লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ০১ অক্টোবর ২০২৪ অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ কমিশনের ১১১তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মানদণ্ড সম্পর্কিত নীতিমালার (প্যারিস নীতিমালা) আলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে কোনো ঘটনা তদন্ত ও প্রতিকারের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা/উপধারা সংশোধনের প্রস্তাবনা পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করার এখতিয়ার প্রাপ্তির লক্ষ্যে আইনের ১৮ ধারা বিলুপ্তি, ৭ (১) ধারাতে কমিশনের চেয়ারপারসন ও কমিশনারদের নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি ০৭ সদস্যের স্থলে ০৯ সদস্য সমন্বয়ে গঠন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক এবং সুশীল সমাজের একজন প্রতিনিধি যিনি স্পিকার কর্তৃক মনোনীত হবেন এমন দুজন সদস্যকেও বাছাই কমিটিতে রাখার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কমিশনের সমন জারির পরও যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনের সম্মুখে হাজির না হয়, তাহলে ওই ব্যক্তিকে কমিশনের সামনে হাজির করার লক্ষ্যে কমিশন জামিনযোগ্য সাক্ষীর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার ক্ষমতাসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ অনুষ্ঠিত ১০৪তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর সংশোধনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সংশোধনী প্রস্তাবসমূহের খসড়া প্রণয়ন করে যা গত ০১ অক্টোবর কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়। কমিশন সভার অনুমোদনক্রমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।