জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার তালিকায় তারা ৬ নম্বরে। সেই আফগানিস্তানের তালিবান সরকার এ বার নিজে থেকেই জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করল। সোমবার আজ়েরবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন। চলবে দু’দিন। ভিসা পেলেই সেই সম্মেলনে যোগ দিতে আফগান কূটনীতিকদের একটি দল বাকু যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
তালিবানি সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালকির কথায়, ‘‘বিভিন্ন রাষ্ট্র আমাদের রাজনৈতিক ভাবে ব্রাত্য করে রেখেছে। কিন্তু জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনায় আমরাও অংশ নিতে চাই।’’ সূত্রের খবর, বাকুতে সিওপি২৯ নামক জলবায়ু বিষয়ক এই শীর্ষ সম্মেলনে আফগানিস্তানকে ‘দর্শক’-এর ভূমিকায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, কোনও ভোটাভুটিতে তারা অংশ নিতে পারবে না বা সম্মিলিত কোনও সিদ্ধান্তে তাদের মতামত গ্রাহ্য করা হবে না।
তালিবান জমানার আগে, ২০১৫-র আন্তর্জাতিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সই করেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও আন্তর্জাতিক সম্মেলনেই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না, বা জানানো হলেও যে দেশে সম্মেলনটি হচ্ছে, সেই দেশ তালিবান প্রতিনিধিদের ভিসা দেয় না। সিওপি২৯ সম্পর্কে আফগানিস্তানের জাতীয় ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ (নেপা)-র প্রধান জ়াইনুলাবেদিন আবিদ বলেন, ‘‘জলবায়ু সমস্যা সমগ্র মানবজাতির সমস্যা। তাই এই বিষয়টি থেকে রাজনীতি দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনাদের রাজনৈতিক ভাবনা-চিন্তার সঙ্গে জলবায়ু সমস্যাকে জড়িয়ে ফেলবেন না।’’
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বাকুতে অবস্থিত আফগান দূতাবাস ফের খোলা হয়েছে। তবে আজ়েরবাইজান সরকার এখনও তালিবান সরকারকে মান্যতা দিতে নারাজ। জলবায়ু সম্মেলনে আসার জন্য তারা তালিবান প্রতিনিধি দলকে ভিসা দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।