বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ১৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার

চলতি সপ্তাহ শেষে বাংলাদেশে ব্যাংকে রক্ষিত বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সামান্য বেড়ে ১৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে সপ্তাহের ব্যবধানে রির্জাভের হিসাব প্রকাশ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিপিএম৬ পদ্ধতিতে হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করে।

সপ্তাহ খানেক আগে গত ২৩ অক্টোবর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি। হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় কোটি ৬০ লাখ ডলার। আগের সপ্তাহেও রিজার্ভ তার পূর্ববর্তী তিন সপ্তাহের চেয়ে সাড়ে চার কোটি বাড়ার তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ওই অবস্থান ছুঁতে পারেনি।

অপরদিকে সবশেষ গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়নেআগের সপ্তাহে যা ছিল ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফহিসাব পদ্ধতি বিপিএম অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করছে। গ্রস বা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করে। ওই হিসাব অনুযায়ী৩০ জুলাই তা ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ছাত্রজনতার আন্দোলনে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২১ অগাস্টও ছিল তাই। পরে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকুআমদানি বিল পরিশোধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর তা নেমে হয় ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে। তিন সপ্তাহ পর অক্টোবর তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়নে।

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে ৫০ বিলিয়নের মাইলফলকের দিকে ছিল দেশ। তখন হিসাব করা হত গ্রস হিসেবে। তবে মহামারী বিশ্ববাজারে শেষে জ্বালানি আর খাদ্যের দাম বৃদ্ধিএরপর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বেড়ে যায় আমদানি খরচ। ২০২২ থেকে কমতে থাকে রিজার্ভ। গত দুই অর্থবছর বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরকারি ঋণপত্র বা এলসি খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছেএতেও কমছে বৈদেশিক মুদ্রা। সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেনতিনি রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে রিজার্ভ বাড়বেকমার কোনো আশঙ্কা নেই। কিন্তু সেটি ঘটেনি। তবে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে রেমিটেন্স বাড়ায় আমদানি দায় পরিশোধের পর রিজার্ভে একটু একটু করে উন্নতি হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন।