চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল আগামী ১৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার মূল ফল প্রকাশের সাধারণত এক মাসের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়। ফলে আগামী ১৪ নভেম্বর সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হবে।
তিনি আরও জানান, ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু পরীক্ষকদের দেওয়া নম্বরগুলো ঠিকভাবে যোগ হয়েছে কিনা, তা দেখা হয়।
প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬০টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ২২ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থী সর্বমোট ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ইংরেজী বিষয়ের জন্য। ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ১৪ হাজার ৯৪২টি করে ২৯ হাজার ৮৮৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা হয়েছে।বিগত এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র, যুক্তিবিদ্যা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ভূগোল, পদার্থ বিদ্যা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, হিসাব বিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং তথ্য ও যোগাযোগ মিলে মোট সাত বিষয়ের ১২টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সবগুলো বোর্ড মিলিয়ে কতজন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, তার তথ্য এখনও পায়নি আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
প্রকাশিত ফলে কারও প্রত্যাশিত ফল না এলে তাকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বা উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।