বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য হযরতুল আল্লামা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তৈয়ব আলী (রহ.) ছিলেন কোরআন–সুন্নাহ ভিত্তিক রাজনৈতিক আন্দোলনের জীবন্ত মডেল।
শনিবার সকাল ১০টায় লালিয়ার হাটস্থ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি ও পীরে তরিকত হযরতুল আল্লামা অধ্যাপক মীর মুহাম্মদ আব্দুর রহিম মুনিরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার খোরশেদ আলম।
বক্তারা বলেন, মসজিদের খেতাবত ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেও অধ্যক্ষ তৈয়ব আলী সুন্নিয়ত ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগ্রামে সাহসী নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ছিলেন জ্ঞান, আদর্শ, সততা, ত্যাগ ও সাহসের অনন্য প্রতীক। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি কর্মীদের প্রতি পিতৃসুলভ মমতা ধরে রেখেছিলেন— যা আজকের রাজনৈতিক পরিসরে খুবই বিরল।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক কলম সম্রাট হযরতুল আল্লামা এম এ মান্নান (ম.জি.আ.)। বিশেষ অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্যতম নেতা ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ হযরতুল আল্লামা মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরী (ম.জি.আ.), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব জননেতা স উ ম আব্দুস সামাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মোজাদ্দেদী (ম.জি.আ.) ও পীরে তরিকত আল্লামা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ (ম.জি.আ.)।
এ ছাড়া জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল আল্লামা ড. আ ত ম লিয়াকত আলী, হাটহাজারী অদুদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি হেলাল উদ্দিন আলকাদেরী, ভাইস প্রিন্সিপাল আল্লামা জাকের আহমদ সিদ্দিকী, লালিয়ার হাট হোসাইনিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিশেষে মিলাদ-কিয়াম, মুনাজাত ও তাবাররুক বিতরণের মাধ্যমে স্মরণ সভার কার্যক্রম শেষ হয়।