আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের দলীয় মনোনীত প্রার্থী হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের দলের মধ্যে সব ধর্ম, বর্ণ ও জাতির মানুষ আছে— মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, চাকমা, মারমা সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। এই ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।’
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে হোসনাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা নাজিম উদ্দিন (খোকন)-এর সভাপতিত্বে তাঁর বাড়ির উঠানে হোসনাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিদিন পথসভা, জনসভা শেষ করে যখন বাড়ি ফিরি, আমার পাঞ্জাবি ঘামে ভিজে যায়। আজ হোসনাবাদের জনগণের ভালোবাসা দেখে মনে হচ্ছে আমার সেই পাঞ্জাবি আরও পাঁচ লিটার ঘামে ভিজবে— যেমনটা আমার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্বাচনের সময় হতো। তখন যত বেশি ঘাম ঝরত, তত বেশি ভোট পেতেন তিনি। আজ আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করছে, হোসনাবাদের সব ভোট ধানের শীষের পক্ষে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে মনে হচ্ছে, আমি ইতিমধ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—বাবার সন্তান হিসেবে ও ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। সবাইকে বলতে হবে— ভোট দিতে হবে ধানের শীষে। এই প্রতীকই আমাদের প্রতিরোধ, আমাদের আশা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনে হাড্ডি-হাড্ডি লড়াই হবে। তাই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা বাঙালি, আমরা বাংলাদেশি— আমাদেরকে কেউ বিভক্ত করতে পারবে না।’
বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘এই হোসনাবাদে এসে মনে হলো— আপনাদের হৃদয়ে এখনও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রতি ভালোবাসা অমলিন। আমি আশা করি, আপনারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলেকে বিপুল ভোটে জয়ী করে সংসদে পাঠাবেন।’
বৈঠক শেষে হুম্মাম কাদের চৌধুরী উপস্থিত জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আয়োজক মির্জা নাজিম উদ্দিন (খোকন)-এর পারিবারিক জিয়াফত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।বৈঠকে হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।