বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, জুলাই যোদ্ধারা দেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা জাতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়। তাঁদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে হলে জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে নগর কার্যালয়স্থ বিআইএ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘৫ দফা গণদাবী আদায়ের লক্ষ্যে জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা’-তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, একটি ইনসাফভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এক শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারলেই জুলাই যোদ্ধাদের ত্যাগের মর্যাদা রক্ষা পাবে। জাতীয় ঐক্যই পারে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথকে সুগম করতে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলন ছিল এক ঐতিহাসিক গৌরবগাঁথা— গণমানুষের অধিকার আদায়ের অনন্য মাইলফলক। সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধারা আজও দেশের গণতন্ত্র, ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা আমাদের চলমান সংগ্রামে দিকনির্দেশনা দেবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবকে টেকসই করতে জুলাই যোদ্ধাদের আবারো মাঠে নামতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী সরকার যে দমননীতি ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা জাতির ইতিহাসে নৃশংস অধ্যায় হয়ে থাকবে। জুলাই যোদ্ধারা জাতিকে মুক্তির দিশা দেখিয়েছিল— আজও সেই চেতনা আমাদের প্রেরণা।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খায়রুল বাশার ও মুহাম্মদ উল্লাহ, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুন, ছাত্রনেতা সিফগাতুল্লাহ, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন আল মামুন, আবরার হাসান রিয়াদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, হামেদ হাসান ইলাহী, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ছাত্রনেতা আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
