বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জনগণের আস্থা বজায় রাখতে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “সরকারের লোক যারা আছেন, তারা অনেক সময় অনেক রকম কথা বলছেন। কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। ফোকাস এক জায়গায় করুন। ফোকাসটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনকে ঠিক করে, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক করে নির্বাচনের দিকে যান। বাকি কাজগুলো যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা করবেন।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “যতবারই বলি, আপনারা শুধু বলেন আমরা শুধু নির্বাচন নির্বাচন করি। নির্বাচন বলি জাতির স্বার্থে। বিএনপির স্বার্থে তো করছি না। সংস্কার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি, সেটা দেখেন। ৬২টি দল একসঙ্গে এই প্রস্তাবনা দিয়েছি।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “একটি বিষয় আমাদের সবার স্বীকার করতেই হবে, এদের কারও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। এর আলাদা যোগ-বিয়োগ আছে, এর আলাদা ইকুয়েশন আছে। এটা বুঝতে পারবে রাজনীতিবিদরা। এজন্য আমরা রাজনীতিবিদরা বলছি নির্বাচন দ্রুত করো। কারণ কী? বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আমরা বলছি নির্বাচন দ্রুত না হলে এ সমস্যাগুলো বাড়বে। অন্যান্য সমস্যা বাড়বে।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমরা সংস্কারের প্রস্তাব করেছি। সেখান থেকে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোনটি গ্রহণ করবেন এবং কোনটি প্রত্যাখ্যান করবেন, তবে শেষ পর্যন্ত, আসল কাজটি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের পর নির্বাচন করা। একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন এবং স্পষ্টভাবে বলুন যে আপনি কখন কী করবেন। এটা করতে পারলে মানুষের আস্থা থাকবে। জনগণ নির্বাচনের তারিখ এবং কখন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চায়।”
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সর্বত্রই একটি প্রশ্ন শোনা যায়, সেটি হলো তারা কত দিন থাকবে, তাদের মেয়াদ কত দিন হবে, নির্বাচন কবে হবে? এটি আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় না। তবে আপনাকে একটি বিষয় বলি, আমরা মোস্ট এসেনশিয়াল কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব।”
‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা আরো বলেন, “আমরা জাস্ট এই জিনিসটা চাই না যে, আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক। আর এটা চাই না- নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কেউ আবার ভুয়া নির্বাচন করার সুযোগ পাক। এটা ছাড়া আর কোনো স্বার্থ নাই।