সামিটের সঙ্গে নতুন এলএনজি টার্মিনাল চুক্তি বাতিল করল সরকার

কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই বিশেষ আইনের আওতায় সামিট গ্রুপের সঙ্গে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ-৩) স্থাপনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যে চুক্তি করেছিল সেটি বাতিল করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল সোমবার চুক্তিটি বাতিল করে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।

টার্মিনালটি বাংলাদেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল এবং সামিট গ্রুপ পরিচালিত দ্বিতীয় টার্মিনাল হওয়ার কথা ছিল। কোম্পানিটির প্রথম এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) মহেশখালীতে অবস্থিত।

পেট্রোবাংলার সচিব রুচিরা ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশের মাধ্যমে সামিট গ্রুপের সঙ্গে বিশেষ আইনের আওতায় করা চুক্তিটি বাতিলের আদেশ জারি করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের খসড়া চুক্তি অনুমোদন করে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, টার্মিনাল চালু হওয়ার পর থেকে ১৫ বছরের জন্য দৈনিক ৩ লাখ ডলার (চুক্তিতে উল্লেখিত বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৩.৩১ কোটি টাকা) রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ পাওয়ার কথা ছিল সামিট গ্রুপের।

সামিটের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ও স্বচ্ছভাবে বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রমাণিত রেকর্ড রয়েছে গ্রুপটির।

বিবৃতিতে সামিট আরও বলেছে, গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় তারা এফএসআরইউ টার্মিনাল ব্যবহার চুক্তি (টিইউএ) বাতিলের নোটিশ পেয়েছে। তারা মনে করে, এটি অযৌক্তিক এবং পর্যালোচনার জন্য আপিল করা হবে।

সম্প্রতি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে সরকার। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।