রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুনের ঘটনায়, মা-শিশু সহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। ট্রেনটি খিলক্ষেতে এলে যাত্রীরা বগিতে আগুন দেখে চিৎকার শুরু করলে, চালক তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামান। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে, অনেকে হুড়োহুড়ি কোরে নামার চেষ্টা করলে অনেকে আহত হন।
এ ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে রেলওয়ে। মঙ্গলবার রেলভবনে সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। সন্ত্রাস ও নাশকতা করে ট্রেনে যাত্রী চলাচল বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী।
এদিকে, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, যারা হরতাল ডেকেছে,তারাই তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে একথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে তারাই এ নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল,গাজীপুরে রেলের লাইন কেটে ফেলা হয়েছিল।ট্রেনের ভেতরে পুলিশ থাকার পরও কিভাবে আগুন লাগলো ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।