নিজের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে সরকারি জমি ছাড়লেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা

চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকাধীন পাহাড়ে অবৈধ দখলদারদের তালিকা করে উচ্ছেদের ঘোষণায় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতেই নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে প্রশংসায় ভাসছেন আকবর শাহ থানা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন।

রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর আকবর শাহ এলাকার শাপলা আবাসিক ইমাম নগরে ঘটনা ঘটে। এতে দেখা যায় একাধিক শ্রমিক ভবন ভাঙার কাজ করছেন। সরকারি জমি ছেড়ে দিচ্ছেন নিজ খরচে ভবন ভেঙে। যা দেখে স্থানীয়রাও উদ্যোগী হবেন বলে প্রত্যাশা তার।

আকবর শাহ এলাকার এই বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন জানান, ‘বিভাগীয় কমিশনার অফিসে অনুষ্ঠিতচট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির পর্যালোচনাসভায় আগামী ২৩ ২৪ শে অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে আমি নিজ উদ্যোগে নিজের ব্যক্তি মালিকানাধীন ফুট জমিসহ দুই শতক জমি ছেড়ে দিলাম। এই জমিতে
২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থাপনা ছিলো।

বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, আমাদের কাছে জমিদার বা দখলদারদের তালিকা নেই। তবে নগরের ২৬ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা রয়েছে; যা হলো হাজার ৫৫৮টি। শিগগিরই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়ে উচ্চ আয়ের লোকজন নিম্ন আয়ের লোকজনকে বসিয়ে আয় করছেন। পাহাড়ে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের তালিকা প্রতিবছর হালনাগাদ করা হয়। কিন্তু যাদের আশ্রয়প্রশ্রয়ে নিন্ম আয়ের এসব লোক সেখানে বসবাস করছেন, সেসব দখলদারদের তালিকা করা হয় না। তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়েছে। নতুন করে তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। তবে স্বেচ্ছায় স্ব উদ্যোগে যারা সরকারি জমি ছেড়ে দিচ্ছেন তাঁদের স্বাগত জানায় প্রশাসনও।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষেপাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৯ তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় নির্দেশ দেন নগরীর আকবর শাহসহ বিভিন্ন পাহাড়ে আগামী ২৩ ২৪ শে অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।