পরিবেশ আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার অপরাধে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাস দ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন পাচুরিয়া এলাকায় অবস্থিত এআরএইচ ব্রিকফিল্ডে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় অবৈধ ইটভাটার চিমনি ধ্বংস করে উচ্ছেদ করা হয়। গতকাল বুধবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের (২০১৩) ধারা-৪ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। একই আইনের ধারা (৮) এর (১) অনুযায়ী লাইসেন্স থাকলেও লোকালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপনের সুযোগ নেই। ধারা-৫ এর (১) অনুযায়ী- কৃষিজমি, পাহাড় বা টিলার মাটি কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না। ধারা-৬ এ বলা হয়েছে- ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার নিষেধ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসাবে পটিয়া উপজেলার হুলাইন এলাকায় এআরএইচ ব্রিকফিল্ডে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্রিকফিল্ড পরিচালনা করে আসছে। এর আগেও দুইবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। এরপরও মালিকপক্ষ জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়নি। আজকেও আমরা চেয়েছিলাম কিন্তু প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এটির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। যেমন- আইন অনুযায়ী লোকালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। পাশেই একটি কলেজ ও বাজার রয়েছে। পাশাপাশি কৃষি জমির মাটি ও কাঠ পোড়ানো হচ্ছিল। তাই অভিযানের অংশ হিসাবে ধ্বংস করে ইটভাটাটি সিলগালা করে দেব; যাতে ভবিষ্যতে কেউ অবৈধ কার্যক্রম চালাতে না পারে।