মেহেদীবাগে নকল ওষুধের কারখানায় জেলা প্রশাসনের অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা, ১ মাস জেল

গতকাল ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরের মেহেদীবাগ এলাকার শহীদ মির্জা লেন এর নূর ভিলা নামক ভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে নকল ও অনুমোদনহীন ঔষধসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা নকল ওষুধের মধ্যে রয়েছে Nerve-Dx, Fair Soap, Virogel, Virocon, Vh-Lotion, Uni-Bion, Uni-D3, Uni Vis, J-One, J-Bion, J-Roba, J-Pollen, S-Bole সহ বিভিন্ন ব্রান্ডের ওষুধ।
আজ বুধবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রাম কাট্টলী সার্কেলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো: আহসানুল কবির (৫৬) এবং সুলতানা রাজিয়া (৩৫)। পাশাপাশি প্রায় ০৫ লক্ষ টাকার মূল্যের ঔষধ জব্দ করা হয়।

অভিযানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়া এজেন্ট পরিচালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ মজুদ ও সরবরাহ, নকল ও ভেজাল ঔষধ মজুদ, দামের তারতম্য এর মতো গুরুতর অপরাধ পরিলক্ষিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ঔষধ মজুদ ও সরবরাহ এবং আভিযানিক টীমের সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে মো: আহসানুল কবির (56) কে দোষী সাব্যস্ত করে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় যথাক্রমে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং রাজিয়া সুলতানা (৩৫) কে একই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মোট দুই লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ০১ (এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। রাজিয়া সুলতানা জরিমানা পরিশোধ না করায় সাজা পরোয়ানামূলে তাকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
দুইজন অপরাধীই স্বীকার করেছে যে, তারা নকল ও ভেজাল ঔষধ বিক্রয় ও বিপণন এর সাথে জড়িত । পাশাপাশি জব্দকৃত সমস্ত ঔষধ জনসম্মূখে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও এই অবৈধ ঔষধ সমূহের সম্ভাব্য বিপপণ দোকানসমূহে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে এবং যে সকল চিকিৎসক এই সব নকল , ভেজাল ও অনুমোদনহীন ঔষধ প্রেসক্রাইব করছেন তাদের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো: ফখরুজ্জামান বলেন, নকল-ভেজাল, আন-রেজিস্ট্রার্ড ওষুধ এবং অবৈধ ওষুধের বিক্রি ও মজুত বন্ধের অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে এবং এর সাথে আর কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।