বহুমাত্রিক কারণে জনপ্রিয় হচ্ছে মোবাইল সাংবাদিকতা- পিআইবি চেয়ারম্যান

সারাবিশে^ বহুমাত্রিক কারণে মোবাইল সাংবাদিকতা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে তিনদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্যদের নিয়ে ‘মোবাইল সাংবাদিকতা’ বিষয়ে ৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।

পিআইবি চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে পিআইবি বছরব্যাপী নানা কর্মশালা করে থাকে। যুগোপযোগী কর্মশালা গুলোর মধ্যে ‘মোবাইল সাংবাদিকতা’ খুবই জনপ্রিয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সাংবাদিক। সারাবিশে^ মোবাইল সাংবাদিকতা খুব জনপ্রিয়। আমাদের দেশেও ক্রমান্বয়ে স্মার্টফোন বা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সাংবাদিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে তরুণ সাংবাদিকদের মধ্যেই আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। শুধু তরুণ নয় যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে হলে সকল বয়সী সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তাই এই কর্মশালা সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একটি কর্মশালা শুধু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে না, এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পায় এবং তাদের মধ্যে নতুন সেতুবন্ধন তৈরি হয়।

আগামীতে চট্টগ্রামে আরো কয়েকটি কর্মশালা আয়োজনের ঘোষণা দেন পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী।

সিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি রুবেল খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটো। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন। প্রশিক্ষাণর্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি স ম ইব্রাহিম । এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজী টিভির নির্বাহী প্রযোজক ও পিআইবি প্রশিক্ষক শাহাব উদ্দিন, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, টিভি ইউনিট প্রধান তৌহিদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আপ্যায়ন ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আল রহমান, নির্বাহী সদস্য আইয়ূব আলী। পরে প্রধান অতিথি কর্মশালা সম্পন্নকারী ৩৫ জন সাংবাদিকের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।