সাবেক এমপি ও তাঁর স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন – এমপি মোতালেব

সাবেক এমপি ও তাঁর স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। এছাড়া সাবেক এমপি ও তার পরিবারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করারও ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় ও পরবর্তী ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা উপলেক্ষ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমপি মোতালেব এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলন এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমপি মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা.আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান, সদস্য সচিব ও সাতকানিয়া পৌরসভার মোহাম্মদ জোবায়ের, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী, যুগ্ম -সম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন, সাতকানিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শফিফুল ইসলাম ও সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সাবেক সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমাগত মিথ্যাচার শুরু করেছেন। তারা নানা উস্কানিমূলক অসত্য তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে উত্তেজিত ও বিব্রত করার অপচেষ্ঠায় নেমেছেন। তারা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছেন। এ ধরণের অনেক তথ্য প্রশাসন এবং আমাদের হাতে রয়েছে। তারা দশ বছর এলাকায় নানা অত্যাচার ও জুলুম করেছেন। আমি তাদের হাতে গত দশ বছরে নির্যাতিত মানুষদের কথা দিয়েছিলাম যে কোন অবস্থায় আপনাদের পাশে থাকবো। এখানে সন্ত্রাস ও প্রতিহিংসার শিকার অনেকেই উপস্থিত আছেন। আমি তাদের আইনী সহযোগিতা দেবো, যাতে তারা মিথ্যা মামলায় হয়রানী থেকে মুক্ত হতে পারে। মাদার্শা, এওচিয়া, সোনাকানিয়া, নলুয়া, চরতী ইউনিয়নে বালু মহাল দখল বেদখল, টপ সয়েল বিক্রির মহোৎসব, কৃষককে গুলি করা, বন উজাড় করা, মানুষের বাড়ি ভিটা দখল, ইটের ভাটা দখল, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছেন তারা। সাবেক এমপি ও ও তার পরিবার অরাজকতা ও নৈরাজ্যে ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি। কথায় কথায় মানুষের সম্মান হানি করা, নিজের আধিপত্য নিশ্চিত করে তিনি সাতকানিয়াকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছিলেন। আমরা তার ও তার পরিবারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র খুব শিগগরই প্রকাশ করবো।

এছাড়া তিনি ১৩ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এসবের মধ্যে রয়েছে- এলাকার আইন-শৃঙ্খংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ইতোমধ্যে নিদের্শনা দিয়েছি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চালানোর জন্য প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। বর্তমানে আমার সংসদীয় এলাকায় শান্তিপূর্ণ, সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী কোন সহিংসতা যাতে না হয় সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকায় মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসায়ী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের তালিকা তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। বালু মহাল নিয়ে সন্ত্রাসী কমকান্ডের লাগাম টানা হবে। অবৈধ বালু উত্তোলক ও দখলবাজ সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা হবে। অবৈধ বালু উত্তোলন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া যেকোন মূল্যে বন্ধ করা হবে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ক্ষত বিক্ষত প্রধান রাস্তাসমূহ মেরামত করা হবে এবং এ উন্নয়ন কর্মকান্ড আগামী ১০০ দিনে নিশ্চিত করা হবে।

এমপি মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা.আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান বলেন, সাবেক এমপি মানুষকে নানাভাবে ধোঁকা দিয়েছেন। নির্বাচনের সময় তিনি বলেছেন- তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী আরবিতে করেছেন বলে বলে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে- আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি করেন এমন কয়েকজন শিক্ষককে দিয়ে বইটি লিখিয়েছেন। তাদের লেখনির বিপরীতে প্রত্যেকটা ২৫ হাজার টাকা করে ইসলামি ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থ দিয়েছেন। তিনি একটি লাইনও লিখেননি। তিনি (সাবেক এমপি) ক্রেডিট নেওয়ার জন্য মানুষকে বলে বেড়াচ্ছেন বঙ্গববন্ধুর আত্মজীবনী আরবীতে তিনি লিখেছেন।