টংকাবতীরকূল মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সুবর্ণজয়ন্তী ৫দিন ব্যাপী

লোহাগাড়া উপজেলার টংকাবতীরকূল গ্রামের পল্লী প্রগতি সংঘের উদ্যোগে আসন্ন “শুভ উত্তরায়ন” সংক্রান্তিতে আয়োজিত সর্বজনীন মহতী ধর্মসভা এবং ষোড়শপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের ৫০ বছর পুর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পাঁচ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার নিয়ে নগরীর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে টংকাবতীরকূল সর্বজনীন মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সুযোগ্য সভাপতি স্বপন কুমার দাশ তার লিখিত বক্তব্যে পাঁচদিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালার বিভিন্ন ঘোষিত কর্মসূচি সমূহ পাঠ করেন। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে আগামী

১২ই জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৮টায় পবিত্র বেদমন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হবে এবং একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি গ্রামের প্রতিটি সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। সকাল ১০টায় রয়েছে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প, বিকাল ৪টায় প্রখ্যাত বাউলশিল্পী ভজনক্ষ্যাপা’র পরিবেশনায় থাকছে মনোজ্ঞ ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্বশান্তি কামনায় অখণ্ড মহাধর্মীয় সম্মেলন।

উক্ত মহাধর্মীয় সম্মেলনে সম্মানিত আর্শীবাদক ও ধর্মীয় আলোচক হিসেবে সীতাকুণ্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালিবিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু এবং পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান উপস্থিত থাকবেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত থাকবেন। রাত ১০.০০টায় প্রখ্যাত লীলা কীর্তনীয়া শ্রীমতী রাধারানী মন্ডল ধর্মীয় লীলা কীর্তন পরিবেশন করবেন।

আগামী ১৩ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন ওসংগীত প্রতিযোগিতা।বিকাল ৪টায় প্রখ্যাত লীলা কীর্তনীয়া শ্রীমতী রাধারানী মন্ডল, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলা কীর্তন পরিবেশন করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও মানবতায় মহাধর্মীয় সম্মেলন।

উক্ত ধর্মীয় সম্মেলনে চট্টগ্রাম কৈবল্যধামের পরম পূজ্যপাদ মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ কালীপদ ভট্টাচার্য্য আর্শীবাদক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধান অতিথি হিসেব বিশিষ্ট সমাজ সেবক, চাক্তাই লোকনাথ ধাম এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাবু অজয়কৃষ্ণ দাশ মজুমদার উপস্থিত থাকবেন। মহান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম মোস্তফা-হাকিম ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আজম সাহেব ও সংবর্ধেয় অতিথি হিসেবে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব বাবু শংকর প্রসাদ দেব, বর্তমান মহাব্যবস্থাপক বাবু মণিলাল দাশ এবং চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মানিত পরিচালক বাবু হিল্লোল বিশ্বাসসহ বিশিষ্ট ধর্মতত্ত্ববিদ, গুণীজন, ধর্মীয় আলোচক বৃন্দও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অতিথি বৃন্দসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

রাত ৯টায়য় ঐতিহ্যবাহী মৌলভী বাজার মণিপুরি নৃত্যশিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের রাস লীলা নৃত্য এবং এরপরেই রয়েছে এক মনোজ্ঞ ধর্মীয় ভজন সংগীতানুষ্ঠান। ভজন সংগীত পরিবেশন করবেন কলকাতা জি- বাংলা সারেগামাপা খ্যাত শিল্পী কৃত্তিকা চক্রবর্তী, চট্টগ্রামের শুভদাশ এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী স্বস্তিকা দাশ প্রান্তি।

আগামী ১৪ জানুয়ারি রোজ রবিবার বিকাল ৪টায় মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস র্কীর্তন । সন্ধ্যা ৫টায় চট্টগ্রামের বিশিষ্ঠ মরমি শিল্পী শিমুল শীলের ভজন র্কীর্তন এবং সন্ধ্যা ৬.৩০টায় একমহতী ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হবে।

উক্ত মহতী ধর্মসভায় রাম কৃষ্ণ সেবাশ্রম, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ও মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী শক্তিনাথানন্দজী মহারাজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অদুল-অনিতা ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান বাবু অদুল কান্তি চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

ধর্মসভার পর পরেই রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী গোষ্ঠি হেরিটেস অব হিলস্ এর পরিবেশনায় রয়েছে এক মনোজ্ঞ আধিবাসী নৃত্য এবং এর পরেই বিশ্বনন্দিত গায়ক, হারমোনিয়ামের জাদুকর প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার নকুল কুমার বিশ্বাসের একক সংগীতানুষ্ঠান।

আগামী ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি রোজ সোম ও মঙ্গলবার বিশ্ব শান্তি কামনায় ষোড়শপ্রহর ব্যাপী অখণ্ড মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে শ্রী প্রভাস কুমার দাশ, লায়ন অশোক কুমার দাশ , মৃণাল কান্তি দাশ, এড. সুজন দাশ, উজ্জল দাশ, পলাশ কান্তি নাথ রনি, পরাগ দাশ, সুমন চক্রবর্তী, অমিত দাশ, মানস দাশসহ টংকাবতীরকূল মহোৎসব উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।