ফলাফল জালিয়াতিকে গুরুত্ব দেয়ার জেরে একটি কুচক্রী মহল তাদের পেইড এজেন্ট দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম।
২৯ জানুয়ারি (বুধবার) শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বের শেষ কার্যদিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে সার্বিক আলোচনা শেষে সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল মিথ্যাচার চালাচ্ছে দাবি করে বলেন, ‘বোর্ডের সাবেক সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ছেলের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তদন্ত সাপেক্ষে জালিয়াতি সাব্যস্ত হওয়ায় ফলাফল বাতিল করা হয়। এ ফলাফল জালিয়াতির পর তদন্ত কমিটির সুপারিশে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ ব্যবস্থা নিতে মাউশির মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এরই জের ধরে একটি কুচক্রী মহল ও ফলাফল জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’
বিগত সময়েও ওএমআর শীট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান 'মাস্টার সিমেক্স পেপার লিঃ ' এর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের নামে হাতেহাতে টাকা নেয়ার অনুমান ভিত্তিক ও মমনগড়া গল্গ সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালানো হয়। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানের সোনালী ব্যাংকের পে-অর্ডার ও রিসিভ পেপার বোর্ডের কাছে সংরক্ষিত আছে। সত্যের বিবরণ না দিয়ে অনুমান ভিত্তিক নিউজ স্টোরি ও পোলাইটনেস থিউরি অনুসরণ না করে জোরপূর্বক মন্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা সাংবাদিকতার নীতিবহির্ভূত কাজ বলে তিনি যোগ করে।
মতবিনিময়ে তিনি আরো বলেন, ‘গণমাধ্যম হচ্ছে রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ও জাতির বিবেক। সাংবাদিকরাই হচ্ছে রাস্ট্র গড়ার কারিগর। সৎ ও ন্যাপরায়ন হওয়া যেমন সরকারি চাকরির নীতিমালার মধ্যে পড়ে, তেমনি একজন সাংবাদিকেরও পেশাদারিত্ব ও ন্যায়নীতির পরিচয় দিতে হয়। সাংবাদিকরা হচ্ছে দেশ ও জনগণের বন্ধু। কারো হেনস্তার পাত্র নয়।'
উল্লেখ্য, অধ্যাপক রেজাউল করিম গত ১৪ মে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পাওয়ার আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৫তম বিসিএসে যোগ দিয়ে ১৯৯৫ সালে প্রভাষক হিসেবে সিলেটের এমসি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রভাষক হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করেন। ২০০২ সালে হাতিয়া সরকারি কলেজ, একই বছরে সহকারী অধ্যাপক পদে স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, ২০০৫ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরে সহকারী অধ্যাপক পদে পদায়ন করা হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালে পটিয়া সরকারি কলেজ, ২০১০ সালে চট্টগ্রামের সরকারি সিটি কলেজ, ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদায়ন করা হয়। ২০১৬ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ এবং একই বছর চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে চট্টগ্রাম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সাইফুল আলম সিদ্দিকী
সম্পাদকীয় ও বার্তা : ৩২১, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক , দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।
ফোন : +৮৮০২৩৩৩৫৪৪৫৮, মোবাইল : +৮৮০১৮৪২-৭৯৭৩১৫
Copyright © 2023 দৈনিক পূর্বতারা. All rights reserved.