মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে পাঁচলাইশ থানায় আবেদন করেন ভুক্তভোগী সিভয়েস২৪ এর প্রতিবেদক শারমিন রিমা।

এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য তথ্য যাচাই ও মন্তব্যের প্রয়োজনে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিমকে গত ২৩ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে ফোন করি। এসময় ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের কথোপকথনে তাঁকে শিক্ষাবোর্ডে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করি।

এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে যাই। বোর্ড চেয়ারম্যান পাশের সম্মেলন কক্ষে থাকায় তাঁর মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে চেয়ারম্যানের কক্ষে অপেক্ষা করি। আনুমানিক ১০ মিনিটের মাথায় একজন কর্মচারীকে পাঠিয়ে তাঁর জন্য আরও বেশি সময় অপেক্ষা করার কথা জানান। আমি অপেক্ষারত থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান এসে আমার ওপর চড়াও হন’।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এসময় আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তিনি ‘পেইড এজেন্ট’ বলে তার কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বোর্ডের কর্মচারীদের আনসার ডাকতে বলেন। তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের এক পর্যায়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। পাশাপাশি শিক্ষাবোর্ডের অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাও আমার ওপর চড়াও হন। পরবর্তীতে আমার পেশাগত কাজে শিক্ষাবোর্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিরাপদ বোধ করছি’।

শারমিন রিমা  বলেন, প্রাপ্যতাবিহীন সাড়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে আমি তার কক্ষে অপেক্ষা করি। বিকেল ৩টার দিকে রেজাউল স্যার এসে আমার সঙ্গে অশোভন-ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং দুর্ব্যবহার করেন।

শারমিন রিমা আরও জানান, সম্প্রতি আমি ‘শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান নিয়ে গুঞ্জন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করি। ওই সংবাদের একটি অংশে উল্লেখ ছিল-বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সচিব থাকাকালীন ওএমআর শিট সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান থেকে হাতে হাতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১২ জুন আমি একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম। এসব নিয়ে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শারমিন রিমা একটি সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেছেন। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।