তবে সুখবর হলো, এটি প্রতিরোধযোগ্য। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করালে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে এই রোগের ঝুঁকি বহুলাংশে কমানো সম্ভব।
আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের একাডেমিক ডিরেক্টর প্রফেসর ডাঃ প্রকাশ কুমার চৌধুরী ।
তিনি বলেন , চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, যার জনসংখ্যা প্রায় ৮০ লক্ষ।এই বিশাল জনসংখ্যার ১০-১২ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এটি একটি গুরুতর সমস্যা, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর পেছনে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং বংশগত প্রভাব। ডায়াবেটিস শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, কিন্তু চোখের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে ক্ষতিকর। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট একটি মারাত্মক চোখের রোগ, যা সময়মতো চিকিৎসা না পেলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে। তবে, এটি একটি সাইলেন্ট ডিজিজ, প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো উপসর্গ থাকে না, যা এই রোগকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে।
তিনি বলেন, আমাদের চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এই রোগ প্রতিরোধে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা রোগ নির্ণয় ও প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করছি।
আমাদের এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাহি মুকিত, যিনি মোরফিল্ডস আই হাসপাতাল যুক্তরাজ্যে কনসালট্যান্ট ভিট্রিওরেটিনাল সার্জন হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন এবং এই রোগ নির্ণয়ের জন্য ডিজিটাল স্ক্রিনিং ইনস্ট্রমেন্ট উদ্ভাবন করেছেন। তাঁর এই অসামান্য কাজ ও অভিজ্ঞতা আমাদের এই প্রোগ্রামকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আমরা তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র চিকিৎসা প্রদানই নয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে অন্ধত্বমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সাইফুল আলম সিদ্দিকী
সম্পাদকীয় ও বার্তা : ৩২১, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক , দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।
ফোন : +৮৮০২৩৩৩৫৪৪৫৮, মোবাইল : +৮৮০১৮৪২-৭৯৭৩১৫
Copyright © 2023 দৈনিক পূর্বতারা. All rights reserved.