সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা ফারুকের অনুসারী হেলালের ছোটভাই চুনতির আলোচিত চোরাকারবারি আবদার উদ্দীনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে।
সে শহীদ নূর নামে এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর চেক নকল সই-সাক্ষর করে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এ জালিয়াতির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিতে গেলে ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২১ সালে ভুক্তভোগী শহীদ নূরের কাছ থেকে আবদার উদ্দিন সিএন্ডএফ ব্যবসার ২৪.৫০ শতাংশ শেয়ার বাবদ ১৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। বনিবনা না হওয়ায় আবদার উদ্দীনের বড় ভাই হেলাল উদ্দীনের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেন ভুক্তভোগী । মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আবদার তার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় ফাসিস্ট আওয়ামী সরকারে সুবিদাভোগী পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এডিশনাল এসপি আবু তাহের শহীদ নূরকে দ্বিতীয়বার টাকা দিতে বাধ্য করেন।
শহীদ নূর দ্বিতীয়বার লেনদেনের ক্লিয়ারেন্স চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আবু তাহের দিতে অস্বীকার করেন এবং মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেন । হিতে বিপরীত আবদার (এনআরবিসি ব্যাংক) শহীদ এন্টারপ্রাইজের চেক চুরি করে (আগ্রাবাদ শাখা হিসাব নং -০১০৫৩৩০০০০০২৯৮ এর বিপরীত সাক্ষরিত চেক ৫৩০৮৯৬৭) নকল সই-সাক্ষরে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ডিজঅনার মামলা দেয়।
শহীদ নূর বলেন, ‘আবদার আমার কাছ থেকে সিএন্ডএফ লাইসেন্স কোম্পানির ২৪.৪০ শতাংশ শেয়ার বাবদ ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বুঝিয়ে নেয়। টাকাটা ক্যাশ নেয়ার সময় তার বড় ভাই হেলাল উদ্দীন গ্রহণ করেন। আবদার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হেলালের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেয়ার চাপ প্রয়োগ করে।
আমি হেলালের কাছে টাকা চাইতে গেলে সে উল্টো কীসের টাকা ধমত দেন এবং জানে মেরে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে হেলাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় ২০২২ সালে পুলিশ কেজ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ’পরে আবদার তার এক আত্মীয় পুলিশ কর্মকর্তা এডিশনাল এসপি আবু তাহেরের মাধ্যমে টাকা চাইতে থাকে। আবু তাহের হেলাল উদ্দীনের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে আমার কাছ থেকে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উসুল করেন। আমি আবু তাহেরের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স চাইলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। এর মধ্যে আবদার আমার অফিস থেকে চেক চুরি করে নকল সই-সাক্ষর করে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মিথ্যা মামলা দেয়। টাকা আদায় না করলে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৭ জুলাইয়ে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।’
এ প্রতারণা ও জালিয়াতি সিন্ডিকেটের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এ প্রতারক সিন্ডিকেটটিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।– তিনি যোগ করেন
এ বিষয়ে আবদার উদ্দীনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় প্রধান আসামি চুনতির আলোচিত চোরাকারবারি আবদার উদ্দিনসহ চারজনের নামে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫ (বি) ধারায় (জিআর, ৬১৭/ ১৯ নং) মামলা হয়। এরই মধ্যে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান আসামি আবদার উদ্দিনের দোকান থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মোবাইল সেটসহ চুরি ও ছিনতাইকৃত মালপত্র জব্দ করেন। প্রধান আসামি আবদার উদ্দিনসহ অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ আদালতের চার্টশিট প্রদান করেন। যা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১১/২০ বিচারাধীন রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সাইফুল আলম সিদ্দিকী
সম্পাদকীয় ও বার্তা : ৩২১, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক , দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।
ফোন : +৮৮০২৩৩৩৫৪৪৫৮, মোবাইল : +৮৮০১৮৪২-৭৯৭৩১৫
Copyright © 2023 দৈনিক পূর্বতারা. All rights reserved.