ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিভিন্ন সময়ে তার অবস্থান নিয়ে নানা তথ্য জানা গেছে। এমনকি ভারত ছেড়ে তৃতীয় দেশে চলে যাওয়ারও খবর শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার অবস্থান জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি সেফ হাউসে দুই মাসের বেশি সময় পার করেছেন শেখ হাসিনা।
দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনে একটি সেফ হাউসে বসবাস করছেন তিনি। সেখানে তার জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি বাংলো শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার্থে সঠিক ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যথাযথ নিরাপত্তা ও প্রোটোকল নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝেমাধ্যে লোদি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য একটি শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ পোশাকে সেসব কর্মকর্তারা তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেন। একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই সুরক্ষা পাচ্ছেন। তিনি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে বসবাস করছেন। এখানে তার থাকার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার কাছের কয়েকজন গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করে ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর দুদিনের মধ্যে সেই জায়গা থেকে অন্যত্র চলে যান। এ ঘাঁটিতে তিনি পৌঁছালে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করেন।
আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, তিনি ওই বিমানঘাঁটিতে বেশিক্ষণ ছিলেন না। সেখানে নিরাপদ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। ফলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং তারপরে তাকে দিল্লির লুটিয়েন্স এলাকায় একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত এলাকায় রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে শেখ হাসিনা যে এলাকাটিতে রয়েছেন সেই এলাকাটি হাই সিকিউরিটি এলাকা। সেখানে ভারতের পার্লামেন্টের অনেক সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা বসবাস করছেন। তিনি বাইরে যান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সূত্র জানিয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনে বিষয়টি কোর নিরাপত্তা গ্রুপকে জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয়।
দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, তিনি যখন ভারতে যান তখন তার বোন ব্রিটিশ নাগরিক শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন। তবে তিনি এখনো তার সঙ্গে রয়েছেন কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি। এ ছাড়া শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লি সদর দপ্তরের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সাইফুল আলম সিদ্দিকী
সম্পাদকীয় ও বার্তা : ৩২১, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক , দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।
ফোন : +৮৮০২৩৩৩৫৪৪৫৮, মোবাইল : +৮৮০১৮৪২-৭৯৭৩১৫
Copyright © 2023 দৈনিক পূর্বতারা. All rights reserved.