জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬জনে । বৃহস্পতিবার থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উজানে পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে ভাটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে জেলার পাচঁ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।
নালিতাবাড়ীতে বন্যার পানিতে ডুবে দুই ভাইসহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬ জন। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিস্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০) ও বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া নামে একজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজনের মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চললেও পানির প্রবল স্রোত আর পর্যাপ্ত নৌযানের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান জানান, রোববার জেলার ভোগাই নদীর নাকুগাঁও পয়েন্টে পানি ১ সেন্টিমিটার, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং চেল্লাখালীর ২৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি এখনও বিপৎসীমার সমান রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর।
জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। সাড়ে ৯ শ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সাইফুল আলম সিদ্দিকী
সম্পাদকীয় ও বার্তা : ৩২১, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক , দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।
ফোন : +৮৮০২৩৩৩৫৪৪৫৮, মোবাইল : +৮৮০১৮৪২-৭৯৭৩১৫
Copyright © 2023 দৈনিক পূর্বতারা. All rights reserved.