বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি  আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে সদস্য সম্মেলনকে ঘিরে যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা স¤পন্ন করেছি এবং সদস্যদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অনিবার্য কারণবশতঃ ৫ অক্টোবর’২৪ এর নির্ধারিত সদস্য (রুকন) সম্মেলন এর তারিখটি আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হয়েছে। অতি শীঘ্রই পরবর্তী তারিখ জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।
৩ অক্টোবর’২৪ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্যদের এক বৈঠক দেওয়ান বাজারস্থ জামায়াত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার ও মুহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক স¤পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, আমির হোসাইন, ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ, মাহমুদুল আলম প্রমুখ।
নগর জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন ও জুলুম চালিয়েছে, এর পাশাপাশি হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। রাতের আঁধারে বাসাবাড়ি থেকে অথবা কুরআনের বৈঠক থেকে তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করেছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট আমরা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রশাসনের যেখানে যেখানে স্বৈরাচার সরকারের আজ্ঞাবহ পদলেহনকারীরা এখনো বিভিন্ন পদে আছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জুলাইতে চট্টগ্রামের ষোলশহর, মুরাদপুরে আন্দোলনে গুলি চালিয়ে যারা নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে সেইসব অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি, এতে চট্টগ্রামের মানুষ হতাশ। অবিলম্বে সেইসব চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানাচ্ছি।