দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশব্যাপী স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বুধবার (৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হকের সই করা এক স্মারকের মাধ্যমে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) বাহিনী দৃশ্যমান টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াবে। শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।

২. অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখা দিলে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্যই পূজা মণ্ডপগুলো (অস্থায়ী স্থাপনা) পরিদর্শন করতে হবে।

৪. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন কোনো আপত্তিকর বা উস্কানিমূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রুখতে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৫. পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ও প্রহরী নিয়োগ করতে হবে, দিনে কমপক্ষে তিনজন এবং রাতে চারজন।

৬. প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

৮. পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি তৈরি করতে হবে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এ কমিটিগুলো তৈরি করবেন।