নেপালে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধ্বসে অন্তত ১৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত আরও ৬৯ জন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট বন্যার কারণে নেপাল সরকার সারাদেশে সতর্কতা জারি করেছিল। এছাড়া মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় এবং গাড়ি চলাচলকে নিরুৎসাহিত করা হয়। উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। পাশাপাশি প্লাবিত এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
নদীর উপচে পড়া পানিতে কাঠমান্ডুর কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক বাড়িঘরের বাসিন্দারা উপরের তলায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের দক্ষিণ দিকের বিস্তীর্ণ এলাকা বেশিরভাগই প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পারা ৪ জনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। এ সময় কাঠমান্ডুর বেশিরভাগ অংশ কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এতে উপত্যকায় স্বাভাবিক জীবনযাপন ও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাজধানীর কিছু অংশে সর্বোচ্চ ৩২২.২ মিলিমিটার (১২.৭ ইঞ্চি) বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে অঞ্চলটির প্রধান নদী বাগমতীর পানি বিপৎসীমার ২.২ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সাইফুল আলম সিদ্দিকী
সম্পাদকীয় ও বার্তা : ৩২১, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক , দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।
ফোন : +৮৮০২৩৩৩৫৪৪৫৮, মোবাইল : +৮৮০১৮৪২-৭৯৭৩১৫
Copyright © 2023 দৈনিক পূর্বতারা. All rights reserved.