মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে সারাদেশের মতো বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আজ কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। “মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ”-এর উদ্যোগে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে।
দাবিদারদের অভিযোগ, সমশিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বহু বছর ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা ন্যায্য গ্রেড বঞ্চনার শিকার। ডিপ্লোমা প্রকৌশলী (১৯৯৪), নার্স (২০১১) এবং কৃষিবিদরা (২০১৮) ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় শ্রেণীর (১০ম গ্রেড) মর্যাদা পেলেও স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দুই পেশা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত।
তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ‘টিম ওয়ার্ক’— যেখানে রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রেডিওথেরাপি, সিটি স্ক্যান, প্যাথলজি থেকে শুরু করে ঔষধ সংরক্ষণ ও বিতরণ— সবকিছুতেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেন। করোনা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো মহামারীতেও তারা সামনের সারিতে কাজ করেছেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়— ক. ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, ৩ ডিসেম্বর ও ১১ ডিসেম্বর তারিখে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের আবেদন করেন। খ. এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সুপারিশ পাঠায়। গ. সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। ঘ. তারা অভিযোগ করেন, ফাইলটি এখনও “লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে” আটকে আছে।
গতকাল শনিবার ২৯ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কর্মসূচির ধারাবাহিকতা— ৩০ নভেম্বর: ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি, ৩ ডিসেম্বর: অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ৪ ডিসেম্বর: পূর্ণদিবস কমপ্লিট শাটডাউন।
আন্দোলনে অংশ নেন ল্যাব টেকনোলজিস্ট জুয়েল দাশ, উত্তম কুমার মহাজন, মোস্তফা কামাল জনি, সুকান্ত কুমার বিশ্বাস; ফার্মাসিস্ট জান্নাতুল নূর, রুপম দাশ, রুমন কুমার সাহা প্রমুখ।
