চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৫ নং সারোয়াতলী ইউনিয়নের খিতাপচর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো. সাজ্জাদ হোসেন মাত্র ৪০ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড লাউ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন।
সাজ্জাদ হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকে কৃষিকাজে জড়িত। তিনি বাজারে আগাম সবজি হিসেবে ভালো দাম পাওয়া এবং সময়মতো বেশি ফলন নিশ্চিত করার পরিকল্পনায় উচ্চ ফলনশীল লাউ বীজ সংগ্রহ করে এ বছর ৪০ শতক জমিতে চাষ শুরু করেন।
গত তিন মাস আগে পশ্চিম খিতাপচর এলাকার দক্ষিণ বিলে লাউ চাষে তার মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এতে মাচা তৈরি, সার, মজুরী ও অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে তার ক্ষেতের লাউ প্রচুর ফলেছে এবং সপ্তাহে দুইবার লাউ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিটি লাউ পাইকারি ৩০ টাকা এবং খুচরা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যা অনুকূলে থাকলে আগামী দুই মাসে আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি সম্ভব হবে। খরচ বাদে তার সম্ভাব্য লাভের পরিমাণ এক লাখ টাকার আশেপাশে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এমন লাভজনক ফলন দেখে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে লাউ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
স্থানীয়রা বলেন, সাজ্জাদ হোসেন ধান ও কচু চাষে সফলতার সঙ্গে পরিচিত এবং অত্যন্ত পরিশ্রমী। তিনি এলাকার কৃষকদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। তবে এলাকার অন্তত ৭০-৮০ জন কৃষক একটি কালভার্টের অভাবে সমস্যায় রয়েছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, হাইব্রিড লাউ অত্যন্ত উচ্চ ফলনশীল এবং এটি প্রায় সারা বছর চাষযোগ্য। বীজ বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। প্রচলিত জাতের তুলনায় এই লাউ ২.৫-৩ গুণ বেশি ফলন দেয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কৃষিবিদ কল্পনা রহমান বলেন, “‘নাইস গ্রীন’ জাতের লাউ দেখতে সুন্দর, তরতাজা ও সুস্বাদু। বাজারে চাহিদা ও মূল্য ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। প্রতি হেক্টরে ২৫-৩০ মেট্রিক টন পর্যন্ত উৎপাদন সম্ভব।”